এমনই প্রশাসন সূত্রের খবর। তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে এসে বোলপুরে ওই ধরনের একটি সভা এবং পদযাত্রা করার। সেই মোতাবেক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানান। তিনি বীরভূম সফর করেছেন। কিন্তু এবারে তিনি লাখো মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বোলপুরে পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে।

প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন বীরভুমের বোলপুর থেকে। তবে এবারের সফরে অনেকটাই চ্যালেঞ্জ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপি যেভাবে বীরভূমে অমিত শাহ সভা এবং রেলিতে লোক এনেছিলো তার দ্বিগুণ লোক আনার ব্যবস্থা করেছে এখানকার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। এক কথা বলা যায় মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে প্রস্তুতিও চলছে চূড়ান্তভাবে ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত কাজ তিনি করছেন বীরভূমে তথা বোলপুরে তার সরোজমিনে দেখতে পারেন বলে জানা গিয়েছে ।একদিকে তিনি চাইছেন তার প্রকল্প দুয়ারে সরকার নামে যেভাবে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌছে যাচ্ছে সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গেছে। কারা এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাইনি তাদের পাইয়ে দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সচেষ্ট হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে ।শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বোলপুর শহরকে সাজিয়ে তোলার জন্য তৃণমূলের পতাকা ফ্লেক্স প্রভৃতি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকরা ইতিমধ্যে এলাকা প্রায় কুড়ি হাজার পতাকা লাগানো হয়েছে। বোলপুর শহরজুড়ে অন্যদিকে প্রায় কুড়িটি বেলুন তোরণ তৈরি করা হয়েছে। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে স্বাগত জানানোর জন্য এই ধরনের আয়োজন করেছে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেস ।অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রেলি করবেন বোলপুর ডাকবাংলা মাঠ থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত সেই রাস্তার মধ্যে বসানো হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশকিছু কাটাউট। শুধু এখানে ক্ষান্ত নয় বীরভূম জেলা প্রশাসন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেখানে রোড শো করবেন সেখানেও রবীন্দ্র আবেগকে কাজে লাগাতে চেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই পদযাত্রার বিভিন্ন জায়গায় লাগানো থাকবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী। যেটা এখনো পর্যন্ত জানা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুদিনের এই বোলপুর সফরে তিনি রাত্রি বাস করবেন একদিন। অন্যদিকে এও জানা গিয়েছে প্রশাসনিক সূত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনাঝুরির হাট দেখতে যেতে পারেন।